মুর্শিদাবাদ: ধুলিয়ান ও শমসেরগঞ্জে অশান্তির পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। শনিবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এই এলাকাগুলি পরিদর্শন করতে পারেন বলে জানা গেছে। তিনি ধুলিয়ান পুরসভার জাফরাবাদে নিহত পিতা-পুত্রের বাড়িতেও যেতে পারেন। এদিকে, ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন, যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অশান্তিতে ২৫০টির বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ১০০টি দোকানে ভাঙচুর হয়েছে। ধুলিয়ান পুরসভা ও শমসেরগঞ্জ ব্লকে ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য ত্রাণ ও পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। আশ্রয়শিবির থেকে বাড়ি ফেরা পরিবারগুলিকে সিলিং ফ্যান, টিউব লাইট, সুইচ বোর্ড, টর্চ, বিছানা ইত্যাদি জরুরি সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র জানান, “ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি হয়েছে। ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এবং পুনর্বাসনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য।”
রাজ্যপালের সফরকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে। বিজেপির জেলা নেতা গৌরীশঙ্কর ঘোষের অভিযোগ, “রাজ্যপালের সফরের কয়েক ঘণ্টা আগে প্রশাসন হঠাৎ ‘অতি সক্রিয়’ হয়ে উঠেছে। রাজ্য সরকারের অসহযোগিতা লুকাতেই এই তৎপরতা।” পাল্টা জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান বলেন, “হিংসার সময় তৃণমূলই মানুষের পাশে ছিল। রাজ্যপালের সফরের জন্য বাড়তি প্রস্তুতির প্রয়োজন আমাদের নেই। প্রশাসন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করছে।”
এদিকে, ধুলিয়ানে পৌঁছেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কয়েকজন মহিলা তাঁদের কাছে গ্রামে স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্পের দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
Tags
Murshidabad